মিয়ানমারের আক্রমান করবে ইরান ও পাকিস্তান! কী হবে মায়ানমারের??? - Know and sharing site in Bangladesh

Breaking

Know and sharing site in Bangladesh

লেখাপড়া টিপস tipscountbd24.blogspot.com

কম খরচে ফেসবুকে এড দিতে!কল করুন:

+88 01776233093

Post Top Ad

কম খরচে ফেসবুকে এড দিতে!কল করুন:

+88 01776233093

Tuesday, September 19, 2017

মিয়ানমারের আক্রমান করবে ইরান ও পাকিস্তান! কী হবে মায়ানমারের???

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করতে চায় পাকিস্তান ও ইরানের সামরিক বাহিনী। এ জন্য উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন পাকিস্তান ও ইরানের সেনাপ্রধান।


রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার জন্য রোববার ফোনালাপ করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান অগ্রহণযোগ্য এবং অমানবিক নিপীড়ন বন্ধ করতে মুসলিম বিশ্বের সব দেশকে একযোগে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গাদের মানবিক ত্রাণ বিতরণে গোটা মুসলিম বিশ্বের সব সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার সম্পদ এবং স্থাপনা ব্যবহারের আহ্বানও জানান তারা। ইরানি ‘তাসনিম’ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সেনাপ্রধান বাজওয়া ও বাকরি রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে দ্রুত মানবিক ত্রাণ বিতরণে মুসলিম বিশ্বের সব দেশের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক সংস্থাকে তাদের সম্পদ ও স্থাপনা ব্যবহার করতে গুরুত্বারোপ করেন।

বহু বছর ধরে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানরা বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে শত শত রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয় এবং এক লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে বন্দিশিবিরে স্থানান্তরিত হন। এই সহিংসতার পর রোহিঙ্গা তরুণরা নাগরিকত্বের স্বীকৃতি ও সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের জন্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) গঠন করে।

গত বছরের অক্টোবরে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আরসার সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোকে লক্ষ্য করে বিতাড়ন অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত চলা ছয় মাসের এ অভিযানকালে কয়েকশ রোহিঙ্গা নিহত এবং এক লাখ ৮৭ হাজার জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা পুলিশচৌকি ও সেনাশিবিরে হামলা চালায়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে শতাধিক নিহত হন, যাদের মধ্যে ১২ জন পুলিশ ও নিরাপত্তা সদস্য, বাকিরা রোহিঙ্গাবিদ্রোহী। এ সংঘর্ষকে ঘিরে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। তারা বেসামরিক রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি করছে এবং তাদের গ্রামগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে।

জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতাকে জাতিগত নিধন অভিযান বলে আখ্যা দিয়ে বলছে- এ পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন এবং প্রায় চার লাখ ১০ হাজার মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনার যায়েদ রাদ আল হোসেইন বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযান পরিষ্কারভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপকহারে বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য নির্যাতন চালাচ্ছে।





No comments:

Post a Comment