নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে স্বামীর পলাতক হত্যাকারীর সাথে লড়ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পলি বেগম। এ নির্বাচনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। সাবেক চেয়ারম্যান হামিদ মোল্যা হত্যার প্রধান আসামী মুন্সি গোলাম মহম্মাদ লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৫ আগস্ট ভোরে উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাহিদ হোসেন মোল্যা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়। এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতা মুন্সি গোলাম মহম্মাদকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী ও চেয়ারম্যান প্রার্থী পলি বেগম।
এদিকে, ভোট গ্রহণের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচারণা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকার চায়ের দোকানেও চলছে নির্বাচনী আলোচনা। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাত্র দু’জন প্রার্থী থাকায় জমজমাট নির্বাচনের আশা করছেন স্থানীয়রা।
নির্বাচনে পলি বেগম লড়ছেন দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে, আর আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম মহম্মাদ।
অপর দিকে স্থানিয় এমপি জনাব কবিরুল হক মুক্তি আনারস কে সাপোট করছে!
সরেজমিনে জানা যায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার সমর্থকরা ভোটারদের সমর্থন আদায় করতে দ্বারে দ্বারে ফিরছে। আর গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক থাকা বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম মহম্মাদের সমর্থক নেতা-কর্মী ও স্বজনরা একইভাবে ভোট চাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জানান, স্থানীয় এমপি কবিরুল হক মুক্তি নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম মহম্মাদের পক্ষ নিয়েছেন। এমপির ভয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী বাধ্য হয়ে নৌকার বিপক্ষে কাজ করাসহ নৌকার প্রচারণা থেকে বিরত থাকছেন। তারা এ বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী পলি বেগম অভিযোগ করেন, আমার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে গোলাম মহম্মাদ ও তার লোকজন। ক্ষমতার লোভেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা মামলার আসামী হয়েও সে একটি মহলের মদদে নির্বাচনে লড়ছে।
তিনি বলেন, আমার কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এমনকি আমার সাথে কাজ করলে খুনের হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহলের মতে, আপাতত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পাল্লাই ভারি মনে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী পলি বেগমের স্বামী নাহিদ মোল্যার এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে। তবে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সর্বোপরি আঞ্চলিকতার ইস্যুটিও প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন দেখার বিষয় হল 28 তারিখে কার জয় হয়!
আপনারা কাকে চান?
ইতি , লেখক মাধবপাশার ছেলে Tarakbiswas
No comments:
Post a Comment