বাংলাদেশ পাকিস্তান ও ভারত এর সাথে শক্তির সমজোতা আনতে পারমানবিক বোম বানাবে - Know and sharing site in Bangladesh

Breaking

Know and sharing site in Bangladesh

লেখাপড়া টিপস tipscountbd24.blogspot.com

কম খরচে ফেসবুকে এড দিতে!কল করুন:

+88 01776233093

Post Top Ad

কম খরচে ফেসবুকে এড দিতে!কল করুন:

+88 01776233093

Monday, April 9, 2018

বাংলাদেশ পাকিস্তান ও ভারত এর সাথে শক্তির সমজোতা আনতে পারমানবিক বোম বানাবে

এবার পাকিস্তান ও ভরত এর সাথে পাল্লা দিয়ে পারমাণবীক বোম তৈরি করবে Bangladesh
পারমাণবিক শক্তির দেশ সমুহ

মায়ানমারে বর্তমানে যে গণহত্যা চলছে তা কিন্তু শুধু মায়ানমারের একার সিদ্ধান্ত না এটা আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি, কেননা তাদের এই গণহত্যায় পশ্চিমা বিশ্বের নিস্তব্ধতা আমাকে এটা ভাবতে বাধ্য করেছে। আমরা জানি যে, আমেরিকা, ইসরাইল এবং রাশিয়ার মতো পশ্চিমা দেশ গুলোর অন্যতম প্রধান ব্যবসাই হচ্ছে অস্ত্র ব্যবসা। তাই সমগ্র বিশ্বের কোথাও না কোথাও অস্থিতিশীল যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করা তাদের ব্যবসারই একটা অংশ। সহিংসতা মুক্ত পৃথিবী মানে পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংস হওয়া সেজন্য তারা আলকায়দা, আইএস এর মতো কথিত সংগঠন গুলো তৈরি করে নিজেদের অস্ত্র ব্যবসাকে চাঙ্গা রেখেছে। এখন মূল কথায় আসি, মায়ানমার মূলত রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাথা ব্যাথা মনে করে অনেক আগে থেকেই, কিন্তু রোহিঙ্গাদেরকে সমূলে বিনাশ করার চিন্তা আগে কখনোও তাদের মাথায় আসেনি কেন? আর বর্তমান সময়ে হঠাৎ করে সবাইকে গণহত্যা করা এবং খেদিয়ে বাংলাদেশের দিকে পাঠানোটা অত্যন্ত রহস্যময় বিষয় না? আবার ইসরাইলীরাও একই সময়ে মায়ানমারের কাছে অবাধে অস্ত্র বিক্রয় করছে; পাঠকবৃন্দ সম্ভবত এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে, রোহিঙ্গা নিধনের ইঙ্গিত কোথা থেকে আসছে! আর উক্ত গণহত্যায় আমেরিকা, চীন, ভারত, কোরিয়া এবং রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশগুলো মৌন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ইহদী গোষ্ঠীর এক হঠকারী কুপ্ররোচনার ফলে লাভবান হচ্ছে ইসরাইলীরা, উগ্র মুসলিম বিরোধিরা সহ আরও অনেকে।
দক্ষিণ এশিয়ার অভিন্ন ইতিহাসের উত্তরাধিকারী হয়ে ভারত ও পাকিস্তন পারমাণবিক বোমার মালিক হলেও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ শক্তি ভারসাম্যহীনতার সুযোগে বাংলাদেশের উপর আধিপত্য করছে ভারত। নিত্যদিন সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা আর জীবন রক্ষায় বিকল্পহীণ আন্তর্জাতি নদীতে বাধ দিয়ে রেখেছে ভারত।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সুখবর দিলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। তারা জানালেন, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে মূল্যবান পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব অঞ্চলে এই তেজস্ক্রিয় খনিজের ঘনত্বও অনেক বেশি। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বাপশক) সম্মেলন কক্ষে ‘ইউরেনিয়াম সার্চিং অ্যান্ড কোয়ান্টিফিকেশন: এন অ্যাটেম্পট অ্যান্ড সাকসেস’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ কে এম ফজলে কিবরিয়া।
বিশ্বের অন্যতম প্রধান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ রাশিয়া বাংলাদেশের কৌশলগত বন্ধু। বিপুল সামরিক অস্ত্রের লেনদেনের পাশাপাশি বাংলাদেশকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে দিচ্ছে। এখন ইউরেনিয়াম পাওয়ার পর নতুন প্রশ্ন তৈরি হল- রুশ সহযোগিতা বাংলাদেশকে পারমাণবিক অস্ত্রেও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবে?
পরমাণু শক্তি কমিশনের নিউক্লিয়ার সেফটি, সিকিউরিটি ও সেফগার্ডস বিভাগের প্রধান ড. এ কে এম ফজলে কিবরিয়া জানান, সিলেট ও মৌলভীবাজারের বেশ কয়েকটি স্থান থেকে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা সম্পন্ন পাথর সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এসব পাথরে ইউরেনিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে। কিছু কিছু পাথরে উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম রয়েছে, যার ঘনত্ব ৫০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) এরও বেশি।
ড. ফজলে কিবরিয়া বলেন, পাথর সংগ্রহ করে ‘গামা স্প্রেকট্রোস্কপি’ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে এগুলো ইউরেনিয়াম ধরা পড়ে। পরে ‘এনার্জি ডিসপার্সিব এক্সরে’ পরীক্ষার মাধ্যমে নমুনায় ইউরেনিয়ামসহ অন্যান্য সম্ভাব্য মৌল শনাক্ত করা হয়।তিনি বলেন, কিছু কিছু পাথরে উচ্চ মাত্রার ইউরেনিয়াম রয়েছে। এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক খবর। তিনি আরো জানান, জাপান ও কোরিয়ায় কয়েকটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। দু’দেশের পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের সাথে বাংলাদেশের ফলাফল সঙ্গতিপূর্ণ।
পারমানবিক বোমা
  
এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটাই বাংলাদেশে প্রথম চেষ্টা যার মাধ্যমে সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলাগুলোর নমুনা সংগৃহীত ঠিক কোনস্থানে কত ঘনত্বের ইউরেনিয়াম রয়েছে, সেসব স্থানের জিপিএস রেকর্ড সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশে ইউরেনিয়াম রয়েছে এমন খবর জানা থাকলেও লোকেশনের সঠিক ডাটাবেজের অভাবে সেসব ফলাফল বর্তমান সন্ধানে তেমন কাজেই আসেনি। এমনকি কোনো কোনো স্থানে ইউরেনিয়ামের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) প্রকাশিত ইউরেনিয়াম উত্তোলন সম্বন্ধীয় বইয়ে উল্লেখিত তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী যেসব খনি থেকে বর্তমানে ইউরেনিয়াম উত্তোলন করা হচ্ছে সেগুলোর অধিকাংশতেই এর ঘনত্ব ৩০০-১০০০ পিপিএম। এটা খুশির খবর যে, আমাদেরও উত্তোলনযোগ্য ঘনত্বের ইউরেনিয়াম রয়েছে। এখন প্রয়োজন কতটুকু এলাকাজুড়ে এমন ঘনত্বের ইউরেনিয়াম রয়েছে এবং দেশের আর কোথায় কোথায় এমন ঘনত্বের ইউরেনিয়াম রয়েছে তা খুঁজে বের করা। এ জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
সেমিনারের (বাপশক) এর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. দিলীপ কুমার সাহা, ভৌত বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক ড. আলেয়া বেগম, মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী আনিছা বেগম, খাদ্য ও তেজস্ক্রিয় ইনিস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. খোরশেদ আলম, বৈজ্ঞানিক তথ্য বিভাগের পরিচালক ড. হিমাংশু, প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী জাফর সাদেক, তেজস্ক্রিয় খনিজ ইউনিটের প্রাক্তন পরিচালক ড. ইউনুস আকন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপর গবেষণা করেন এমন একশত জন বিজ্ঞানী অংশ গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ একটি ছোট ও গরিব দেশ হঔয়ার কারণে এত দিন পিছিয়ে ছিল!



No comments:

Post a Comment